অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : রাজধানী ঢাকায় প্রতিদিন ৬ হাজার টন বর্জ্য-আবর্জনা তৈরি হয়। সঠিক ব্যবস্থাপনায় আনা গেলে এই বর্জ্য-আবর্জনা থেকেই দৈনিক ৪০ থেকে ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব।
শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ অডিটোরিয়ামে ইনস্টিটিউট অব এনার্জি আয়োজিত ‘সাসটেইনেবল গ্রিন বিজনেস’ শীর্ষক এক সেমিনারে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এ তথ্য দেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশ আজ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে পৌঁছেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এখন সবুজ ও পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগের দিকে নজর দিতে হবে বলে জোর দেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘অর্থনৈতিক উন্নয়নের ফলে পরিবেশের ক্ষতি হলে আমরা পরবর্তী প্রজন্মের জন্য বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা রেখে যেতে পারবো না। তাই আমাদের মানুষের জীবনের মান উন্নত করার সাথে পরিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।’
জ্বালানি বা এনার্জি শিল্পায়নের জন্য অপরিহার্য জানিয়ে তিনি বলেন, সেই জ্বালানির উৎস পরিবেশবান্ধব না হলে তা সমগ্র মানবজাতিকে হুমকির মুখে ফেলে। এই বাস্তবতাকে মাথায় রেখেই সবুজ অর্থনীতি ও সবুজ বিনিয়োগ ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় গুরুত্ব পেয়েছে।’
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতির অগ্রযাত্রায় দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বাড়ার সঙ্গে ভোগব্যয় বেড়েছে। ফলে প্রচুর পরিমাণে আবর্জনা তৈরি হচ্ছে। সঠিক আবর্জনা ব্যবস্থাপনার মাধ্যমেও আমরা জ্বালানির উৎস পেতে পারি।’
‘ঢাকা শহরে প্রতিদিন ছয় হাজার টন আবর্জনা তৈরি হয়। এ আবর্জনা সঠিক ব্যবস্থাপনা করা গেলে দিনে ৪০ থেকে ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব।’
বেসরকারি উদ্যোক্তাদের পরিবেশবান্ধব সবুজ বিনিয়োগে আহ্বান জানান স্থানীয় সরকার মন্ত্রী। বলেন, ‘ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সম্ভাবনাকে নির্মূল করে যে উন্নয়ন তা কখনো টেকসই হবে না। তাই ব্যবসায়ীদের এখন থেকেই পরিবেশবান্ধব সবুজ বিনিয়োগের দিকে গুরুত্ব সহকারে নজর দিতে হবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে সেমিনারে টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (স্রেডা) চেয়ারম্যান মনিরা সুলতানাসহ প্রমুখ অংশ নেন।
Leave a Reply